এসি ছাড়াই ঘর শীতল রাখার উপায়
এসি ছাড়া রুম ঠান্ডা করার উপায়।বর্তমানে দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি। আগে আমাদের দেশে সবাই ছিল যৌথ ফ্যামিলি। কিন্তু এখন সবাই একা থাকতে অভ্যস্ত বা পরিস্থিতির কারণে করতে বাধ্য হচ্ছে। এখন একক ফ্যামিলির কারনে প্রচুর ঘরবাড়ি বেশি হচ্ছে। বাড়ী-ঘরের পরিমান আগে যেভাবে ছিল এখন সেভাবে নাই বললেই চলে। বাড়িঘরের পরিমাণ বাড়ছে। এখন অনেক সুউচ্চ ভবন তৈরি হচ্ছে। এসব ভবনের মানুযের বসবাসের পরিমাণ অনেক বেশী । এইসব কারনে গরমের সময় অতিরিক্ত গরম অনুভূত হয়।
এজন্য এখনকার মানুষজন এসির ব্যবহার বেশি করছে । এটা সমাজের গুটিকয়েক সংখ্যামাত্র । এসির ব্যবহারের অনেকের সমর্থন হয়না আবার অনেকের সমর্থন হয়েছি । এসিতে আবার অনেক খরচ বেশী । এজন্য প্রাকেতিক বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে রুম ঠাণ্ডা করতে পারি ।
সূচিপত্রঃ এসি ছাড়া রুম ঠান্ডা করার উপায়
- টেবিল ফ্যানের সামনে বরফে রেখে দিন।
- দুপুরে জানালা বন্ধ রাখুন।
- ঘরে গাছ রাখুন।
- ঘরে ভারী পর্দা ব্যবহার করুন।
- মেঝেতে বিছানা করুন।
- ঘুমানোর আগে বেডশিট ফ্রিজে রাখুন।
- ঘরে কম আসবাব পত্র রাখুন।
- খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে দিন।
- রাতে সব জানালা খোলা রাখুন।
- তাই শোবার ঘরে আলো কম রাখুন।
টেবিল ফ্যানের সামনে বরফে রেখে দিন
প্রাকৃতিক পদ্ধতি হচ্ছে রুমের মধ্যে টেবিল ফ্যান সেট করে তাঁর সামনে গামলা ভরে ঠাণ্ডা পানি রাখলে কিছুক্ষণ পরে রুম সহজে ঠান্ডা হয়ে যায়। হইতে। তখন খুব আনন্দের ও ভাল লাগা অনুভূতি মনে হয়।
দুপুরে জানালা বন্ধ রাখুন
অনেকের রুমের ঘর পশ্চিমমুখী হয়ে থাকে ।অনেক সময় বেশির ভাগ সময়ে গরম বেশি অনুভূত হয় । এজন্য দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রুম বন্ধ রাখলে রুমে গরম কম অনুভূত ।
ঘরে গাছ রাখুন
রুম ঠাণ্ডা করার আর একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি হচ্ছে ঘরে গাছ রাখুন ।এখন তো আমাদের দেশে খুব কম জায়গায় পাওয়া যায় রুমের ভিতরে গাছ রাখার ।আগে বাসার চারিদিকে অনেক ফাঁকা জায়গা ছিল । সেখানে গাছগাছালি থাকতো । কিন্তু এখন জায়গার স্বল্পতার কারণে বা মানু্যের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে সেই জায়গার পরিমাণটা কমে গেছে । যার কারণে গাছের পরিমান কমে গেছে । গাছের পরিমান কমার কারনে গরমের পরিমাণটা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে । এজন্য রুমে যদি বিভিন্ন প্রজাতির বিভিন্ন জাতের গাছ রাখা যায় যেখানে সূর্যের তাপটা পরে না সেরক্ম স্থানে যদি গাছ রাখা যায় তাহলে রুমটা অনেক ঠাণ্ডা হয় । এতে করে তার ভাল লাগার অনুভূত তৈরী হয়।
ঘরে ভারী পর্দা ব্যবহার করুন
ঘর ঠাণ্ডা রাখার আরেকটি উপায় হচ্ছে ঘুমের ভিতরে যেখানে জানালা আছে সে সব জায়গাতে গাঢ় রঙের ভারী পর্দা লাগালে এতে করে রুম অনেকটা ঠান্ডা হবে।
মেঝেতে বিছানা করুন
অনেক আগেকার মানুষজন। সিলিং ফ্যান থাকার পরেও মেঝেতে ঘুমাতেন। কারণ নিচে ঘুমালে এক ধরণের প্রশান্তি পাওয়া যায়। একটি রুমের সিলিং থেকে বিছানার দূরত্ব যত বেশি তার থেকে মেঝের দূরত্ব তার থেকে বেশী । এই কারণে গরম মেঝেতে কম পড়ে । এতে বাতাসটা শরীরে এক ধরনের ঠান্ডা অনুভূতি দেয় ।
ঘুমানোর আগে বেডশিট ফ্রিজে রাখুন
আপনি যখন ঘুমাবেন তাঁর এক থেকে আধ ঘণ্টা আগে আপনার বেড-শীট পলিথিনের মধ্যে ঢুকিয়ে ফ্রিজে রাখুন । আপনি যখন ঘুমোবেন তখন বেড-শীট বের করে বিছানা করেন । ঘুমার সময় দেখবেন অনেক আরাম পাচ্ছেন বা ঠান্ডা লাগছে ।
ঘরে কম আসবাব পত্র রাখুন
একটি ঘরে বা একটি রুমে যত বেশী আসবাব রাখবেন তত গরম বেশি অনুভূত হবে। এজন্য যতটা পারবেন কম আসবাব রাখতে । বিশেষ করে এখন রুমে অনেক এলইডি লাইট সবসময় ব্যবহার হয়। এইকারনে রুমে অনেক তাপ হয় । এজন্য অনেক বেশি গরম বা হিট হয়ে যায়। সেজন্য ইলেকট্রিক জাতীয় জিনিস যেমন ফ্রিজ রুমে না রেখে চেষ্টা করতে হবে রুমের বাইরে ডাইনিং ঘরে রাখতে । এতে করে গরমের দাপট কম হবে।
খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে দিন
ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বা গরম কম অনুভূত করতে জানালাতে ভেজা চাদর দিয়ে ঢেকে দিন । তাহলে বাইরের গরমটা যখন রুমের ভিতরে আসবে তখন চাদরে ধাক্কা খাবে এতে করে পানি শোষণ হয়ে রুমের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস প্রভাবিত করবে এতে রুমটা অনেকখানি ঠান্ডা হবে।
রাতে সব জানালা খোলা রাখুন
১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রুম বন্ধ রাখার পর যখন আস্তে আস্তে সূর্য ডোবার সময় হবে তখন সন্ধ্যার পর থেকে জানলা গুলো খুলে দিন । এতে রুমে যে গরম বাতাস বা গরম আবহাওয়া আস্তে আস্তে বাইরে বের হয়ে হবে । রুমের মধ্যে টেবিল ফ্যান সেট করে যদি জানালার দিকে টেবিল ফ্যান ছেড়ে দেওয়া যায়, তবে রুমের গরম বাতাসটা বাইরে চলে যায়। এতে অনেকখানি ঠান্ডা হয়।
শোবার ঘরে আলো কম রাখুন
বর্তমান যুগ এখন সর্ব ক্ষেত্রেই এলিডির যুগ। লাইট , ফ্যান। অনেক কিছু এখন প্রযুক্তির উপর নির্ভরব।বএটি ব্যবহার করে উপকার আছে, আবার ক্ষতিও আছেব। রুমের ক্ষেত্রে লাইট সবসময় যখন ব্যবহার করা হয় তখন তাপ বেশি অনুভূত হয়। এজন্য চেষ্টা করতে হবে ঘরটাতে কম সময়ে এটা ব্যবহার করার। এতে রোগ ঠান্ডা থাকবে।
পরিশেষে বলা যায় বর্তমানে এসি খুব প্রয়োজনীয় মাধ্যম ।রুম ঠান্ডা রাখার জন্য এসব খুব প্রয়োজনীয় । কিন্তু এসির ব্যবহার হলে বাসার সদস্যদের অনেকের সর্দিকাশি বা অ্যালার্জির বিভিন্ন ধরনের অসুখ বা রোগ সৃষ্টি হচ্ছে । এ জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হল প্রাকৃতিকভাবে বা প্রাকৃতিক উপায়ে রুম ঠান্ডা রাখা । প্রাকৃতিক উপায়ে রুম ঠাণ্ডা করলে সেটি স্বল্প সময়ের জন্য হয় । দীর্ঘ সময়ের জন্য হয় না । তার পরেও প্রাকৃতিক উপায়ে ঠান্ডা করলে পরিবারের সদস্যদের শরীরের অনেক উপকার হয় । এতে আর একটি বিষয় হল এসির মাধ্যমে রুম ঠান্ডা করলে খরচ অনেক বৃদ্ধি পায় । যা অনেকের পরিচালনা করাও অনেক কষ্টকর হয়ে যায় । এ জন্য প্রাকৃতিকভাবেই বা প্রাকৃতিক উপায়গুলো ব্যবহার করে আমরা খুব সহজে রুম ঠান্ডা রাখতে পারি।
গ্লোবাল বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url